৫০+হুমায়ূন আহমেদ এর বিখ্যাত উক্তি | Humayun Ahmed Quotes

adittaw fabicon

By Adittaw Saha

Published on:

হুমায়ূন আহমেদ এর বিখ্যাত উক্তি

হুমায়ূন আহমেদ, বাঙালি সাহিত্যের একজন অমর কিংবদন্তি, যিনি তাঁর অনন্য লেখনী শৈলীর মাধ্যমে কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর প্রতিটি উক্তি, গল্প, উপন্যাস বা নাটক জীবনের গভীরতম অনুভূতি এবং বাস্তবতার এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। এই লেখায়, আমরা আপনাকে হুমায়ূন আহমেদের কিছু বিখ্যাত উক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেব, যা জীবনের নানা প্রেক্ষাপটে আপনার চিন্তাকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিতে পারে। চলুন, হারিয়ে যাই এই অসাধারণ লেখকের মনোমুগ্ধকর উক্তিগুলোর মাঝে।

আমাদের এই পোস্টটি তে আপনারা পাবেন ৫০+ হুমায়ূন আহমেদ এর বিখ্যাত উক্তি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে । চলুন শুরু করি…

হুমায়ূন আহমেদ এর বিখ্যাত উক্তি

“আমি কখনো অতিরিক্ত কিছুদিন বাঁচার জন্য সিগারেটের আনন্দ ছাড়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ভেবে রেখেছিলাম ডাক্তারকে বলব, আমি একজন লেখক। নিকোটিনের বিষে আমার শরীরের প্রতিটি কোষ অভ্যস্ত। তোমরা আমার চিকিৎসা করো, কিন্তু আমি সিগারেট ছাড়ব না। তাহলে কেন ছাড়লাম? পুত্র নিনিত হামাগুড়ি থেকে হাঁটা শিখেছে। বিষয়টা পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। দু-এক পা হেঁটেই ধুম করে পড়ে যায়। ব্যথা পেয়ে কাঁদে। একদিন বসে আছি। টিভিতে খবর দেখছি। হঠাৎ চোখ গেল নিনিতের দিকে। সে হামাগুড়ি পজিশন থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসছে আমার দিকে। তার ছোট্ট শরীর টলমল করছে। যেকোনো সময় পড়ে যাবে এমন অবস্থা। আমি ডান হাত তার দিকে বাড়িয়ে দিতেই সে হাঁটা বাদ দিয়ে দৌড়ে হাতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বজয়ের ভঙ্গিতে হাসল। তখনই মনে হলো, এই ছেলেটির সঙ্গে আরও কিছুদিন আমার থাকা উচিত। সিগারেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত সেই মুহূর্তেই নিয়ে নিলাম।” – হুমায়ূন আহমেদ

“মেয়েদের অনেক গুণের মধ্যে বড় গুণ হলো এরা খুব সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারে। কথাবার্তায় নিতান্ত এলোমেলো মেয়েও চিঠি লেখায় গোছানো। মেয়েদের চিঠিতে আরেকটা ব্যাপার থাকে – বিষাদময়তা। নিতান্ত আনন্দের সংবাদ দিয়ে লেখা চিঠির মধ্যেও তারা জানি কী করে সামান্য হলেও দুঃখ মিশিয়ে দেয়। কাজটা যে তারা ইচ্ছা করে করে তা না। প্রকৃতি তাদের চরিত্রে যে বিষাদময়তা দিয়ে রেখেছে তাই হয়তো চিঠিতে উঠে আসে।” – হুমায়ূন আহমেদ

“যে স্বপ্ন দেখতে জানে ,সে তা পূর্ণও করতে পারে। আমরা মনে হয় স্বপ্ন দেখাই ভুলে গেছি…আর যেটুকুই বা দেখি তা নিজেরাই বিশ্বাস করতে চাই না…তাই পূর্ণও করতে পারি না।” – হুমায়ূন আহমেদ

“কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত।” – হুমায়ূন আহমেদ

“তুমি দশটি সত্য এর মাঝে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও…সেই মিথ্যাটিও সত্য হয়ে যাবে…কিন্তু তুমি দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্য মিশাও… সত্য সত্যই থেকে যাবে….সেটি আর মিথ্যা হবে না…সত্য আসলেই সুন্দর…” – হুমায়ূন আহমেদ

“হিমুর প্রতিটি কথা ভুয়া। সত্যি কথা সে অতীতে কোনোদিন বলেনি। ভবিষ্যতেও বলবে না।” – হুমায়ূন আহমেদ

“এই মেঘ, রৌদ্র-ছায়া” – হুমায়ূন আহমেদ

“মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।” – হুমায়ূন আহমেদ

“বড় বড় ব্যাপারগুলি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপারগুলি চোরকাঁটার মত কিছুতেই তাড়ানো যায় না!” – হুমায়ূন আহমেদ

“নোংরা কথা শুনতে নিষিদ্ধ আনন্দ আছে, কথা যত নোংরা তত মজা।” – হুমায়ূন আহমেদ

“সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে!” – হুমায়ূন আহমেদ

“আমার সমস্যার কথা রুপাকে কি আমি বলতে পারি? আমি কি বলতে পারি – আমার বাবার স্বপ্ন সফল করার জন্য সারাদিন আমি পথে পথে ঘুরি। মহাপুরুষ হবার সাধনা করি. যখন খুব ক্লান্তি অনভব করি তখন একটি নদীর স্বপ্ন দেখি। যে নদীর জল ছুয়ে ছুয়ে এক জন তরুনি ছুটে চলে যায়. এক বার শুধু থমকে দাড়িয়ে তাকায় আমার দিকে। তার চোখে গভীর মায়া ও গাঢ় বিষাদ। এই তরুনীটি আমার মা. আমার বাবা যাকে হত্যা করেছিলেন।” – হুমায়ূন আহমেদ

“হিমু কখনও জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে অনেকটা হাসেঁর মত। ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল।” – হুমায়ূন আহমেদ

“দিনকাল পাল্টে গেছে, এখন আর মানুষ আগের মতো নাই।মওলানা ধরনের মানুষের দিকে এখন আর আগের মতো ভয়-মিশ্রিত শ্রদ্ধার চোখে কেউ তাকায় না। মওলানাও যে বিবেচনায় রাখার মতো একজন, কেউ তাও বোধহয় মনে করে না। ছল্টুফল্টু ভাবে।” – হুমায়ূন আহমেদ

“বিত্তবান মানুষরা কল্পনা করতে পারেনা। তারা বাস্তব নিয়ে এত ব্যাস্ত থাকেন যে কল্পনা করার সময় পাননা।কল্পনা না করতে করতে তাদের কল্পনা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।” – হুমায়ূন আহমেদ

“আমার সঙ্গে কি আছে জানিস? পদ্ম। নীলপদ্ম। পাচটা নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম। কাউকে দিতে পারছিনা। দেয়া সম্বব নয়. হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না।” – হুমায়ূন আহমেদ

“হিমু কখনও জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে অনেকটা হাসেঁর মত। ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল।” – হুমায়ূন আহমেদ

“হিমুর প্রতিটি কথা ভুয়া। সত্যি কথা সে অতীতে কোনোদিন বলেনি। ভবিষ্যতেও বলবে না।” – হুমায়ূন আহমেদ

“নারীদেরকে সৃষ্টিকর্তা পূর্ণতা দিয়েই পাঠিয়েছেন। শুধু পূর্ণতাই না অতিরিক্ত দিয়ে দিয়েছেন। তাই তো আমরা ‘অপূর্ণ পুরুষ’ পূর্ণ হতে এই নারীদেরই প্রয়োজন হয়.” – হুমায়ূন আহমেদ

“কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়।” – হুমায়ূন আহমেদ

“মানুষ খুবই স্বাধীন প্রাণী কিন্তু অদ্ভুদ কারণে সে ভালবাসে শিকল পরে থাকতে।” – হুমায়ূন আহমেদ

“কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার ন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।” – হুমায়ূন আহমেদ

“হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না….. কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায়। সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই…… কি যেন নাই……” – হুমায়ূন আহমেদ

“সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের।” – হুমায়ূন আহমেদ

“বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল!” – হুমায়ূন আহমেদ

বিত্তবান মানুষরা কল্পনা করতে পারেনা। তারা বাস্তব নিয়ে এত ব্যাস্ত থাকেন যে কল্পনা করার সময় পাননা।কল্পনা না করতে করতে তাদের কল্পনা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।” – হুমায়ূন আহমেদ

হিমু অসৎ না, উন্মাদও না, তবে রহস্যময়। নিজেকে সে প্রকাশ করে না। কেন করে না তা সে জানে না।” – হুমায়ূন আহমেদ

যারা কম বুঝতে পারে, এই পৃথিবীতে তারাই সবচে সুখি।” – হুমায়ূন আহমেদ

ইউনিভার্সিটির পুরানো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে, হাসি হাসি করে জিজ্ঞেস করা হয়— তারপর কি খবর ভালো আছেন? এখন কি করছেন? কলেজের পুরানো বন্ধুর সঙ্গে বলা হয়— আরে তুমি? কেমন আছো? আর স্কুল লেভেলের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে— একজন আরেকজনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে— তাই নিয়ম।” – হুমায়ূন আহমেদ

হুমু তখনও জানে না, পৃথিবীর যে কোনো দেশে সন্ধ্যার পর কোনো মেয়েকে একা একা ছাদের উপর হাঁটতে দেখলে ছেলেদের কী করতে হয়। হুমু তাড়াতাড়ি ঘরে চলে গেল।” – হুমায়ূন আহমেদ

যারা কম বুঝতে পারে, এই পৃথিবীতে তারাই সবচে সুখি।” – হুমায়ূন আহমেদ

“যে পাখি উড়ে যায়, তাকে ফিরে আসতে হয়। খাঁচায় বন্দি পাখিরই শুধু উড়ে যাওয়া বাঁ ফিরে আসার ব্যাপার থাকে না।” হুমায়ূন আহমেদ (চলে যায় বসন্তের দিন)

“কল্পনায় দেখেছি নুহাশ পল্লীর সবুজের মধ্যে সাদা ধবধবে শ্বেত পাথরের কবর। তার গায়ে লেখা চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে নিয়ো না, নিয়ো না সরায়ে।” হুমায়ূন আহমেদ (কাঠপেন্সিল)

“মুজিবকোট বঙ্গবন্ধুকেই মানায়। এই কোট বেঁটে এবং মোটারা পরলে তাদের লাগে পেঙ্গুইন পাখির মতো।” হুমায়ূন আহমেদ (হিমুর নীল জোছনা)

“আমরা কাউকেই হারাতে চাই না, কিন্তু সবাইকেই হারাতে হয়।” হুমায়ূন আহমেদ

“প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে।” বাদশাহ নামদার – হুমায়ূন আহমেদ

“হাসলে মেয়েদের যত সুন্দর লাগে হাসি চেপে রাখলে তারচে দশ গুন বেশি সুন্দর লাগে।” হুমায়ূন আহমেদ

“সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।” হুমায়ূন আহমেদ

“জীবন সহজও নয় জটিলও নয়। জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে জটিল করি- সহজ করি।” হুমায়ূন আহমেদ

“যাদের জীবনে মজার অংশ কম …তারা অন্যের মজা দেখে আনন্দ পায় …দুধের স্বাদ ভাতের মাড়ে মেটানোর মত.” হুমায়ূন আহমেদ

“পরম করুণাময় ত্রিভুবনের শ্রেষ্ঠ উপহার তাকে দিয়েছেন। তার কোলভর্তি নিষাদ নামের কোমল জোছনা। আমার মতো অভাজন তাকে কি দিতে পারে? আমি দিলাম মধ্যাহ্ন। তার কোলে জোছনা, মাথার উপর মধ্যাহ্ন। খারাপ কি?” হুমায়ূন আহমেদ (মধ্যাহ্ন; অখন্ড)

“মায়ের গায়ে কোন দোষ লাগে না। ছেলে-মেয়ে মায়ের ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে, সন্তান কখনও না।” হুমায়ূন আহমেদ

“মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় অন্যরা তাকে খুঁজে বের করুক।” হুমায়ূন আহমেদ

“নারীদেরকে সৃষ্টিকর্তা পূর্ণতা দিয়েই পাঠিয়েছেন। শুধু পূর্ণতাই না অতিরিক্ত দিয়ে দিয়েছেন। তাই তো আমরা ‘অপূর্ণ পুরুষ’ পূর্ণ হতে এই নারীদেরই প্রয়োজন হয়.” হুমায়ূন আহমেদ

“গাধা এক ধরনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ-পরিচিতদের গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে। প্রিয় বন্ধুদেরই গাধা বলা যায়। এতে প্রিয় বন্ধুরা রাগ করে না বরং খুশি হয়।” হুমায়ূন আহমেদ

“মেয়েদের আসল পরীক্ষা হচ্ছে সংসার… ঐ পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে সব পাশ!” প্রিয়তমেষু (হুমায়ূন আহমেদ)

“সঠিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আছে শুধুই আল্লাহপাকের। মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে সে মানুষ।” হুমায়ূন আহমেদ

“মৃত্যুর সময় পাশে কেউ থাকবে না, এর চেয়ে ভয়াবহ বোধ হয় আর কিছুই নেই। শেষ বিদায় নেয়ার সময় অন্তত কোনো একজন মানুষকে বলে যাওয়া দরকার। নিঃসঙ্গ ঘর থেকে একা একা চলে যাওয়া যায় না, যাওয়া উচিত নয়। এটা হৃদয়হীন ব্যাপার।” হুমায়ূন আহমেদ

“আমার হারিয়ে ফেলার কেউ নেই। কাজেই খুঁজে পাওয়ারও কেউ নেই। আমি মাঝে মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি, আবার খুঁজে পাই.” হুমায়ূন আহমেদ

“রাতের ট্রেনে উঠলে তিথির সব সময় মনে হয়- ট্রেনে ট্রেনে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারলে মন্দ হতনা। তবে একা না। একজন পাশে দরকার। এমন একজন যাকে দেখতে ভাল লাগে। যার পাশে বসতে ভাল লাগে। যার কথা শুনতে ভাল লাগে। এমন একজন যে কথা বলতে বলতে চোখ ফিরিয়ে নিলে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, ‘তুমি চোখ ফিরিয়ে নিলে কেন? খবরদার আর কখনো এরকম করবে না।’” হুমায়ূন আহমেদ

“মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।” বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল – হুমায়ূন আহমেদ

“পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে। কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।” হুমায়ূন আহমেদ

“হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না….. কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায়। সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই…… কি যেন নাই……” হুমায়ূন আহমেদ

“চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে…ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে.” হুমায়ূন আহমেদ

“মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে।” হুমায়ূন আহমেদ

“সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে!” হুমায়ূন আহমেদ

“কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়।” হুমায়ূন আহমেদ

“মেয়েরা বিয়ের আগে কোনো পুরুষকেই স্বামী ভেবে আনন্দ পায় না। প্রেমিককেও তারা বিয়ের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বামী ভাবে না।” হুমায়ূন আহমেদ (কিছুক্ষণ)

“অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।” হুমায়ূন আহমেদ

“মেয়েদের মন পৃথিবীর সবচেয়ে স্পর্শকর জায়গা। এই মন অনেক কঠিন বিষয় সহজে মেনে নেয়, আবার অনেক সহজ বিষয় সহজে মেনে নিতে পারে না।” হুমায়ূন আহমেদ

“কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়.. তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না.. তাদের কিছু অব্যক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায় .. আর কিছু কিছু স্মৃতি – এক সময় পরিণত হয় দীর্ঘশ্বাসে।” হুমায়ূন আহমেদ

“হুমু তখনও জানে না, পৃথিবীর যে কোনো দেশে সন্ধ্যার পর কোনো মেয়েকে একা একা ছাদের উপর হাঁটতে দেখলে ছেলেদের কী করতে হয়। হুমু তাড়াতাড়ি ঘরে চলে গেল।” হুমায়ূন আহমেদ

“একজন প্রেমিকের কাছে চন্দ্র হলো তার প্রেমিকার মুখ। আর জোছনা হলো প্রেমিকার দীর্ঘশ্বাস।” হুমায়ূন আহমেদ

““যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেক বেশি খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না । মানুষ এমনই সৃষ্টির সেরা জীব যে একসময় শিখে যায় পৃথিবীতে একাই বেঁচে থাকা যায় । তখন মানুষ একা একাই ভাল থাকে ।”” হুমায়ূন আহমেদ

শেষ কথা

হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তিগুলো আমাদের জীবনের নানা অনুভূতির কথা বলে। তাঁর কথাগুলো যেন আমাদের মন ছুঁয়ে যায়, জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে নতুনভাবে দেখতে শেখায়। আপনার প্রিয় উক্তিটি কোনটি? মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না! আরও উক্তি ও গল্পের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে একবার ঘুরে আসুন, মজার অনেক কিছুই অপেক্ষা করছে!

Leave a Comment